ফি’লি’স্তি’নের গা’জা উপ’ত্য’কায় নি’র্বিচা’রে বো’মা হা’ম’লা ও গু’লি চা’লিয়ে যাচ্ছে ই’সরায়ে’লি সে’নাবাহিনী। আর এসব হা’ম’লা’য় মূলত টার্গেট করা হচ্ছে আ’বাসিক স্থাপনা। ফলে জীবন বাঁ’চাতে বা’ড়িঘর ছে’ড়ে চ’লে যা’চ্ছে হাজার হাজার মানুষ। জাতিসংঘ জানিয়েছে, অব্যা’হতভাবে অপ’রাধমূ’লক হা’ম’লা চালিয়ে যাচ্ছে ইস’রা’য়েল। এ জন্য অন্তত ১০ হাজার ফি’লি’স্তিনি নি’জেদের বাড়িঘর ছে’ড়েছে। খবর: আল জাজিরা।
এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ বলেছে, ‘করো’না ম’হামা’রিতে এসব ফি’লিস্তিনি স্কুল, মস’জিদ এবং অন্যান্য জায়’গায় আশ্রয় নিচ্ছে। সেখানে পানি, খাদ্য ও চিকিৎসাসেবা পর্যাপ্ত নয়। এছাড়া মহা’মা’রিতে স্বা’স্থ্যবিধিও মেনে চলার সুযোগ নেই।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সেখানের হা’সপা’তাল ও স্যা’নিটেশন সেবাগুলো বিদ্যু’তের উপর নির্ভ’র করে। কিন্তু বিদ্যুৎ উৎ’পাদনের জ্বা’লানি রো’ববার থেকে শেষ হতে যাচ্ছে।’
জা’তিসংঘ আশা করছে, ফি’লিস্তি’নি গ্রুপ’গুলো এবং ইস’রায়ে’লি কর্তৃপক্ষ অ’বিলম্বে সেখানে মান’বাধি’কার ক’র্মীদের যাওয়ার অনুমতি দেবে। যাতে করে তারা জ্বা’লানি, খাদ্য এবং চি’কিৎসা দিতে পারে। বো’মা হা’ম’লার মুখে পরি’বার নিয়ে পা’লিয়ে আসা সালওয়া আল আ’ত্তার বিবিসিকে বলেন, ‘আমাদের মনে হচ্ছিল যেন ভ’য়’ঙ্ক’র এক সিনে’মার মধ্যে আছি। আমাদের মা’থার উপ’রে জ’ঙ্গি বি’মান থেকে বো’মা নি’ক্ষে’প করা হচ্ছে।
অপ’রদিকে ট্যাং’ক থেকে গু’লি করা হ’চ্ছে। নারী, শিশু, পু’রু’ষরা সবাই চিৎ’কার করছিল।’ রমজানের আগে গা’জা শ’হরে ফিরে আসা তু’র’স্কের ফি’লিস্তিনি শিল্পী মালা’ক মা’ট্টার আল জা’জিরাকে বলেন, ‘আমি ২০০৮, ২০১২ এবং ২০১৪ সালের যু’দ্ধে বেঁ’চে গিয়ে’ছিলাম। আমি এবং আমার পরিবার বলতে পারি যে, এখন যা চলছে তা পূর্ববর্তী যু’দ্ধে’র চেয়েও খা’রাপ অ’বস্থা।’
তিনি বলেন, ‘এখনো বো’মা হা’ম’লা বন্ধ হয়নি। হা’ম’লার টা’র্গেট হলো আমি যেখানে বাস করি সেই শহরের আবা’সিক ভব’নগুলো। এখানে গা’নবো’ট এমনকি বি’মান থেকেও গু’লি চা’লানো হ’য়েছে। আমার বন্ধুরা তাদের বাসা ছে’ড়ে যে’তে বাধ্য হয়েছে। এটি ১৯৪৮ সালে নক’বার কথা মনে করিয়ে দেয়। এটি একটি গ’ণহ’ত্যা।’
গত সোমবার (১০ মে) থেকে গা’জায় বি’মান হা’ম’লা শুরু করে ই’সরায়ে’লি বাহি’নী, যা এখনো অ’ব্যাহত রয়েছে। এ হামলায় এখন পর্যন্ত ১২২ জন ফি’লিস্তিনি নি’হ’ত হয়ে’ছেন। আ’হ’ত হয়ে’ছেন প্রায় হা’জার খানেক। অপরদিকে হা’মা’সের র’কে’ট হা’ম’লায় এখন পর্যন্ত আ’টজ’ন ইস’রায়ে’লি নি’হ’ত হ’য়েছেন।
এদের মধ্যে দুই শিশু, একজন ভারতীয়, একজন বয়স্ক নারী ও এক ই’সরা’য়েলি সে’নাসদস্য রয়ে’ছেন। এছাড়া আ’হ’ত হয়েছেন কয়েক ড’জন। ইস’রায়ে’ল ও ফি’লিস্তি’নিদের মধ্য এখন যে সং’ঘা’ত চ’লছে, তা ২০১৪ সালের পর সবচেয়ে বড় আকারের।